Sunday, January 30, 2022

Auschwitz කවිය බෙංගාලි බසින්

 


මා විසින් ලියන ලද Auschwitz කවිය මාගේ බෙංගාලි මිතුරෙකු වන Sibtosh Banerjee විසින් බෙංගාලි බසට පරිවර්තනය කරන ලදි


পোল্যান্ডের ভিননিটসা মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট ডাক্তার,আমার একান্ত বন্ধুবর DR. Ruwan Jayatunge লেখা একটা কবিতা বাংলা অনুবাদ করে আপনাদের কাছে তুলে দিলাম 27 শে জানুয়ারি দিনটিকে স্মরণ করে। 27 জানুয়ারি 1945 সাল রুশ সৈন্যরা জার্মানি কে পরাজিত করে অসউইটজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের বন্দীদের মুক্তি দিল। এই দিনটিকে স্মরণ করে লেখা এই কবিতা।
Auschwitz
DR. Ruwan Jayatunge


অনুবাদক : শিবতোষ বন্দোপাধ্যায়
অসউইটজের মাটিতে পা দেবার সাথে সাথে আবার বুকটা ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে,
বহু বছর হয়ে গেল আমি বাবা-মা ছোট বোনের হাত ধরে এই মৃত্যুপুরীতে এসেছিলাম-
এখন তো মনে হয় এইতো সেইদিন।
তিন রাত -চারদিন কাটিয়েছি ট্রেনের কামরায়,
যেগুলিতে তৈরি করা হয়েছিল গরু, মেষ সরবরাহের জন্য--
সেখানে আমরা গৃহপালিত পশুর মতন গাদাগাদি করে বসেছিলাম,
আমার ছোট বোন তৃষ্ণার্ত হয়ে একটু জল চেয়েছিল আমার কাছে--
আমি আমার জলের বোতলের শেষ ফোটাটা ওর মুখে ঠেলে দিয়েছিলাম,
তারপর ও আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিল
আমি তিনরাত বিনীদ্র রজনী কাটিয়েছি।
কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ট্রেনটা যখন বন্দিশিবিরের মাটি স্পর্শ করল,
দরজা গুলো হঠাৎ বাইরে থেকে খুলে গেল আকস্মিকভাবে-
বঁধ ভাঙা জলের মতন আমরা ছিটকে পড়লাম স্টেশনে --
কেউ ছিলনা আমন্ত্রন জানানোর জন্য --
শুধু ছিল সামরিক পোশাকে পিঠে মেশিনগান ও হাতে শিকারি কুকুর নিয়ে জার্মান সৈন্যরা।।
আমি ওদের চোখের ভাষা বুঝতে পেরেছিলাম,
যেন এক মৃত্যুপুরীর অতি ভয়ঙ্কর দানবদের হাতে আমরা আজ সমর্পিত,
হাজার হাজার বন্দী মানুষ-- চারি দিকে হাটা চলার শব্দ,
বাকি সবকিছু নিস্তব্ধ--নরক বোধহয় এমনই হয়।
বন্দীশিবিরের প্রথমটা রাত্রিটা ছিল এক ভয়ংকর শীতের রাত,
আমার মন বলছিল, আমরা আজ জীবনের শেষ স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে আছি,
ভোররাতের দিকে একজন কমান্ডার আমাদের পরস্পরকে আলাদা করে দিল নির্দয়ভাবে--
আমার বাবা-মা ও বোনকে আর সকল লোকেদের সাথে ঠেলে দিলো একটা লাইনে,
যেটা সোজা চলে গেছে গ্যাস চেম্বারে দিকে।
ভোরের লাল আলোয় দেখেছিলাম ওদের শরীরগুলো জ্বলে-পুড়ে--
সারা দ্যুলোক-ভূলোককে কালো করে তুলেছিল।
আমি ওই কালো ধোঁয়ার মধ্যে ছোট বোনের মুখটি দেখেছিলাম,
ওদের অস্থি ভস্ম আমার চোখে, মুখে ও মাথায় লেগে ছিল অনেকদিন-
আমি নিজেকে পরিস্কার করিনি।
এভাবে চলল দিনের পর দিন, রাতের পর রাত এক নরক গুজরান,
অত্যাচার, অনাচার , হত্যা , ভয় যেন শব্দগুলো মিলেমিশে একটা শব্দে দাঁড়িয়েছিল অসউইটিজ।
যাওয়ার রাস্তায় শেষে ছিল ইলেকট্রিক কাটা তারের বেড়া ও মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন,
অনেক চেনা মুখ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে-
হারিয়ে গেছে ইলেকট্রিক কাঁটাতারের বেড়ায়।
একদিন মাঝরাতে হঠাৎ কোলাহল,
দিন, মাস, বছর সব জীবনের খাতা থেকে মুছে গেছিল,
সবাই ফিসফিস করতে করে বলতে লাগল যুদ্ধের নাকি শেষ।
ছিলনা টেলিভিশন, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন কিংবা একটি রেডিও,
তবুও খবর বাতাসে ভাসতে ভাসতে এল --
রুশ সৈন্যরা রাইখস্টাইগের মাথায় লাল পতাকা





Sibtosh Banerjee





No comments:

Post a Comment

Appreciate your constructive and meaningful comments

Find Us On Facebook